আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা -১২৬৮৯: পুত্রহীন ব্যক্তির কোন সম্পদের অংশ ভাই/ভাতিজা পাবে?

No Comments

 



জিজ্ঞাসা-১২৬৮৯:

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। কোন ব্যক্তির একজন কন্যা সন্তান আছে এক্ষেত্রে তার সম্পত্তিতে তার ভাইয়েরা অংশ পাবে। জানার বিষয় হল সে পৈতৃক সূত্রের যে সম্পত্তি পেয়েছে সেটুকু থেকে ভায়রা পাবে নাকি সে উপার্জন করে যে সম্পত্তি ক্রয় করেছে সে সম্পত্তির ও অংশ ভাইয়েরা পাবে?

তারিখ:  ২৪/০৭/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ফরিদপুর  থেকে।


 জবাব:  وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

 نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সমস্ত সম্পদই হচ্ছে মীরাছ। তাই পৈতৃক সম্পত্তি ও নিজের উপার্জিত সম্পত্তি সব কিছুই এর শামিল, সুতরাং ভাইয়েরা সকল সম্পদে অংশ পাবে। 

মিরাস এর সংজ্ঞা দ্বারা তা প্রমাণিত হয়। যেমন,


মীরাছ-এর আভিধানিক অর্থ :


আরবী ‘মীরাছ’ (ميراث) শব্দটি ক্রিয়ামূল, যা وَرَثَ يَرِثُ إرْثًا ومِيْرَاثًا থেকে উদগত। আভিধানিক অর্থ : অংশীদার হওয়া, হকদার হওয়া। সূত্র: মুহাম্মাদ আলী আছ-ছাবূনী, আল-মাওয়ারীছু ফিশ শারী‘আতিল ইসলামিয়্যাহ (দামেশক : দারুল কলম, ৩য় সংস্করণ, ১৯৯৭ খ্রি.), পৃঃ ৩৩-৩৪।

 যেমন আল্লাহ বলেন,وَوَرِثَ سُلَيْمَانُ دَاوُودَ ‘সুলায়মান দাঊদের ওয়ারিছ হয়েছে’ (নামল ২৭/১৬)।


মীরাছ এর পারিভাষিক অর্থ: 

মীরাছ হ’ল মৃত ব্যক্তি হ’তে তার জীবিত ওয়ারিছদের নিকট মালিকানা স্থানান্তরিত হওয়া। যা স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অথবা শারঈ যেকোন হক হোক।


মীরাছের বিষয়টি মানুষের মরণোত্তর সময়ের সাথে সম্পৃক্ত, তাই এর সংশ্লিষ্ট জ্ঞানকে ‘নিছফুল ইলম’ বা জ্ঞানের অর্ধেক বলা হয়েছে। সূত্র: মাওয়ারীছ-৩৪ পৃষ্ঠা


সারকথা হলো, আপনার প্রশ্নের বর্ণনা আলোকে,  উক্ত ব্যক্তির পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদ এবং নিজ উপার্জিত সম্পত্তির তথা সব ধরনের সম্পত্তি ও নগদ টাকা-পয়সার মিরাস অনুযায়ী পুত্রহীন ব্যক্তির ভাইয়েরা অংশ পাবে।


 والله اعلم بالصواب

উত্তর প্রদানে মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক