জিজ্ঞাসা-১২৬৭০০:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
আচ্ছালামু আলাইকুম, জনাব, যদি কারও উপর হজ ফরজ, কিন্তু তিনি সরকারী খরচে হজ সম্পন্ন করেছেন, এতে তাঁর ফরয হজ আদায় হবে কি?
তারিখ: ২৮/০৭/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা সাইফুল ইসলাম চট্টগ্রাম থেকে।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো, হ্যা, আদায় হবে। এ বিষয়ে সৌদি স্থায়ী কমিটিতে জিজ্ঞেস করা হলে, বলা হয়েছে জায়েজ আছে। যেমন,
وسئلت اللجنة الدائمة (11/36) عن حكم الحج من نفقات الحاكم . فأجابت :
يجوز لهم ذلك ، وحجهم صحيح ، لعموم الأدلة اهـ
إذا حج الولد فرضه من مال أبيه فحجه صحيح اهـ .
وقالت اللجنة الدائمة أيضاً (11/40) عمن فاز في مسابقة دينية وكانت جازتها الحج :
শাসকের খরচ থেকে হজের হুকুম জানতে চাওয়া হয়। সে উত্তর দিল:
তাদের জন্য এটা করা জায়েজ। তাদের হজ সহিহ হবে। সূত্র: ফাতাওয়ায়ে লাজনাতুল দায়েমা - ১১/৩৬
এটি স্থায়ী কমিটির ফতোয়াতেও বলা হয়েছে,
ছেলে যদি পিতার টাকায় হজ করে তাহলে তার হজ বৈধ। সূত্র: ফাতাওয়ায়ে লাজনাতুল দায়েমা - ১১/৩৭
فإن هذه الحجة تجزئ -إن شا ء الله ـ عن حجة الفرض، إذ لايشترط في صحة الحج فرضا كان أو تطوعاً أن يكون من مال الحاج، ولا شك أن الإنفاق من ماله في الحج أفضل وأعظم أجرا عند الله ، والمهم أن يكون من كسب طيب ومن أجاب السائلة بأن حجها غير مجزئ فقد أخطأ وأجابها بغير علم.
অর্থাৎ, বর্ণিত অবস্থার প্রেক্ষিতে তার আদায়কৃত হজ্জটি ফরজ হজ্জ হিসেবেই বিবেচনা করা হবে,ইন শা আল্লাহ। কারণ ফরজ কিংবা নফল, কোনো হজ্জের ক্ষেত্রেই এরূপ কোন শর্তারোপ করা হয়নি যে, হজ্জ পালনকারীকে নিজনিজ সম্পত্তি দিয়েই হজ্জ পালন করতে হবে । তবে একথা সন্দেহাতীতভাবেই সত্য যে, হজ্জ পালনকালে নিজ সম্পত্তি থেকেই অর্থ ব্যয় করাটা সর্বাধিক উত্তম এবং আল্লাহর কাছ থেকে বহুমাত্রিক সাওয়াব লাভের অধিকতর সম্ভাবনা সৃষ্টি করে। তবে এক্ষেত্রে সবচাইতে বেশী গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, হজ্জ আদায়ের ক্ষেত্রে হালাল উপার্জিত সম্পত্তি থেকেই যেন হজ্জের যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করা হয়, এবিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখা একান্ত প্রয়োজন।
সুতরাং যে ব্যক্তি প্রশ্নকারিনীকে বলেছে যে, "তার হজ্জটি ফরজ হজ্জ হিসেবে যথেষ্ট হবেনা", সে তাকে মাস'আলার ভুল সমাধান দিয়েছে, এবং না জেনেই উত্তর দিয়েছে।
সারকথা হলো,
والله اعلم بالصواب
উত্তর প্রদানে, মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক