জিজ্ঞাসা-১২৪৭৬:
মোটিভেশন ক্লাস: ১১
আসসালামুয়ালাইকুম । "ইসলামের দৃষ্টিতে সৈনিকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য" সম্পর্কে লেশন প্লান দরকার। অগ্রীম জাঝাকাল্লাহ। তারিখ: ২৪/০২/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা আসাদুল হক, ঢাকা থেকে
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো,
ক। আল্লাহ তাআলার ওপর ঈমান:
একজন মানুষের সর্বপ্রথম দায়িত্ব মহান রবের প্রতি ঈমান আনা। আল্লাহর ওপর অগাধ বিশ্বাস ও ভালবাসায় তাকে যুদ্ধ ক্ষেত্রে তা জীবন বিলিয়ে দিবে। ঈমান ও আল্লাহর ভালবাসা সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে-
আয়াত নং-০১
Surah Al-Burooj, Verse 11:
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَهُمْ جَنَّاتٌ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ ذَٰلِكَ الْفَوْزُ الْكَبِيرُ
যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের জন্যে আছে জান্নাত, যার তলদেশে প্রবাহিত হয় নির্ঝরিণীসমূহ। এটাই মহাসাফল্য। সূরা বুরুজ -১১
আয়াত নং-০২
Surah Al-Baqara, Verse 165:
وَمِنَ النَّاسِ مَن يَتَّخِذُ مِن دُونِ اللَّهِ أَندَادًا يُحِبُّونَهُمْ كَحُبِّ اللَّهِ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَشَدُّ حُبًّا لِّلَّهِ
আর কোন লোক এমনও রয়েছে যারা অন্যান্যকে আল্লাহর সমকক্ষ সাব্যস্ত করে এবং তাদের প্রতি তেমনি ভালবাসা পোষণ করে, যেমন আল্লাহর প্রতি ভালবাসা হয়ে থাকে। কিন্তু যারা আল্লাহর প্রতি ঈমানদার তাদের ভালবাসা ওদের তুলনায় বহুগুণ বেশী। সূরা বাকারা-১৬৫
খ। ওয়াদা পূর্ণ করা:
একজন সেনাসদস্য রিক্রুট ট্রেনিং পর যখন পবিত্র কুরআন নিয়ে গ্রহণ করে। সে তার জীবন বিপন্ন করিয়ে হলেও নিজ ও জাতিকে রক্ষা করবেন। আর ওয়াদা রক্ষার ব্যাপারে আদেশ হলো, یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَوۡفُوۡا بِالۡعُقُوۡدِ অর্থ: ওহে মু’মিনগণ! তোমরা অঙ্গীকারসমূহ পূর্ণ কর। সূরা মায়েদা-০১
গ। নেতা/ সিনিয়রের আনুগত্য করা:
একজন সৈনিকের অন্যতম দায়িত্ব হলো, সিনিয়রের আনুগত্য করা।
যেমন আল্লাহ বলেন, يَاأَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا أَطِيْعُوا اللهَ وَأَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ- হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর এবং আনুগত্য কর রাসূলের ও তোমাদের নেতৃবৃন্দের। সূরা নিসা-৫৯
হাদিস নং-০১
,مَنْ أَطَاعَنِى فَقَدْ أَطَاعَ اللهَ، وَمَنْ عَصَانِى فَقَدْ عَصَى اللهَ، وَمَنْ يُطِعِ الأَمِيْرَ فَقَدْ أَطَاعَنِى، وَمَنْ يَعْصِ الأَمِيْرَ فَقَدْ عَصَانِى-
রাসূল (ﷺ) বলেন, যে আমার আনুগত্য করল, সে আল্লাহর আনুগত্য করল। আর যে আমার অবাধ্যতা করল সে আল্লাহর অবাধ্যতা করল। আর যে ব্যক্তি আমীরের আনুগত্য করল সে আমারই আনুগত্য করল, আর যে ব্যক্তি আমীরের অবাধ্যতা করল সে আমারই অবাধ্যতা করল”। তাখরিজ: বুখারী-২৯৫৭, ৭১৩৭; মুসলিম-১৮৩৫; মিশকাত-৩৬৬১
হাদিস নং-০২
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ ، ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ، ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻤﺮﺀ ﺍﻟﻤﺴﻠﻢ ﺍﻟﺴﻤﻊ ﻭﺍﻟﻄﺎﻋﺔ ﻓﻴﻤﺎ ﺃﺣﺐ ﻭﻛﺮﻩ ﺍﻻ ﻳﺄﻣﺮ ﺑﻤﻌﺼﻴﺔ ﻓﺈﺫﺍ ﺃﻣﺮ ﺑﻤﻌﺼﻴﺔ ﻓﻼ ﺳﻤﻊ ، ﻭﻻ ﻃﺎﻋ
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, মুসলমানদের উপর নেতার আদেশ শোনা ও মানা অপরিহার্য কর্তব্য। চাই সে আদেশ তার পছন্দনীয় হোক, আর অপছন্দনীয় হোক। তবে হ্যাঁ, যদি আল্লাহর নাফরমানিমূলক কোন কাজের নির্দেশ হয় তবে সেই নির্দেশ শোনা ও মানার কোন প্রয়োজন নেই।
হাদিস নং-০৩
আমীরের আনুগত্য থেকে হাত গুটিয়ে নিলে কিয়ামতের দিন তার কোন দলীল থাকবে না। রাসূল (ﷺ) বলেন,مَنْ خَلَعَ يَدًا مِنْ طَاعَةٍ لَقِىَ اللهَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لاَ حُجَّةَ لَهُ যে ব্যক্তি তার হাতকে আনুগত্য থেকে মুক্ত করে নিল, সে ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহর সাথে মিলিত হবে এমন অবস্থায় যে, তার কোন দলীল থাকবে না। তাখরিজ: মুসলিম-১৮৫১; মিশকাত-৩৬৭৪
ঘ। আমানত রক্ষা:
এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, وَالَّذِينَ هُمْ لِأَمَانَاتِهِمْ وَعَهْدِهِمْ رَاعُونَ- ‘আর যারা তাদের আমানত ও অঙ্গীকার রক্ষা করে’ । সূরা মুনিনুন-৮
এ সম্পর্কে হাদিস শরিফে এসেছে-
হাদিস নং-০১
আব্দুল্লাহ বিন ‘আমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন,أَرْبَعٌ إِذَا كُنَّ فِيكَ فَلاَ عَلَيْكَ مَا فَاتَكَ مِنَ الدُّنْيَا : حِفْظُ أَمَانَةٍ وَصِدْقُ حَدِيثٍ وَحُسْنُ خَلِيقَةٍ وَعِفَّةٌ فِي طُعْمَةٍ- ‘চারটি বিষয় যদি তোমার মধ্যে থাকে, তাহ’লে দুনিয়ায় তুমি কি ছেড়ে গেলে সেটা দেখার বিষয় থাকবেনা। ১. আমানত রক্ষা করা। ২. সত্য কথা বলা। ৩. সচ্চরিত্রতা এবং ৪. হালাল ও পবিত্র জীবিকা’। তাখরিজ: আহমাদ হা/৬৬৫২; বায়হাক্বী শো‘আব হা/৪৮৭৮; মিশকাত হা/৫২২২ ‘রিক্বাক্ব’ অধ্যায়; ছহীহাহ হা/৭৩৩
হাদিস নং-০২
হযরত আনাস (রাঃ) বলেন,قَلَّمَا خَطَبَنَا رَسُولُ اللهِ -صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- إِلاَّ قَالَ : لاَ إِيمَانَ لِمَنْ لاَ أَمَانَةَ لَهُ، وَلاَ دِينَ لِمَنْ لاَ عَهْدَ لَهُ- ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদের নিকট খুব কমই ভাষণ দিতেন যেখানে তিনি বলতেন না যে, ঐ ব্যক্তির ঈমান নেই, যার আমানতদারিতা নেই। আর ঐ ব্যক্তির দ্বীন নেই, যার অঙ্গীকার ঠিক নেই’। তাখরিজ: বায়হাক্বী শো‘আব হা/৪০৪৫; মিশকাত হা/৩৫; ছহীহুত তারগীব হা/৩০০৪
ঙ। যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা:
এ বিষয়ে কুরআনুল মাজিদের নির্দেশনা হলো,
وَ اَعِدُّوۡا لَهُمۡ مَّا اسۡتَطَعۡتُمۡ مِّنۡ قُوَّۃٍ وَّ مِنۡ رِّبَاطِ الۡخَیۡلِ تُرۡهِبُوۡنَ بِهٖ عَدُوَّ اللّٰهِ وَ عَدُوَّکُمۡ وَ اٰخَرِیۡنَ مِنۡ دُوۡنِهِمۡ ۚ لَا تَعۡلَمُوۡنَهُمۡ ۚ اَللّٰهُ یَعۡلَمُهُمۡ ؕ وَ مَا تُنۡفِقُوۡا مِنۡ شَیۡءٍ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ یُوَفَّ اِلَیۡکُمۡ وَ اَنۡتُمۡ لَا تُظۡلَمُوۡنَ
অর্থ: আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থের মধ্যে থেকে এবং পালিত ঘোড়া থেকে,যেন প্রভাব পড়ে আল্লাহর শত্রুদের ওপর এবং তোমাদের শত্রুদের ওপর আর তারেকে ছাড়া অন্যান্যদের ওপর ও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন। বস্তুত যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহর রাহে, তা তোরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না। সূরা আনফাল-৬০
চ। অসহায়- মাজলুমকে সাহায্য করা:
এ বিষয়ে পবিত্র কুরআনের নির্দেশ হলো, মহান আল্লাহ বলেন,
وَ مَا لَکُمۡ لَا تُقَاتِلُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ وَ الۡمُسۡتَضۡعَفِیۡنَ مِنَ الرِّجَالِ وَ النِّسَآءِ وَ الۡوِلۡدَانِ الَّذِیۡنَ یَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَاۤ اَخۡرِجۡنَا مِنۡ هٰذِهِ الۡقَرۡیَۃِ الظَّالِمِ اَهۡلُهَا ۚ وَ اجۡعَلۡ لَّنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ وَلِیًّا ۚۙ وَّ اجۡعَلۡ لَّنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ نَصِیۡرًا
অর্থ: তোমাদের কী হয়েছে যে, তোমরা আল্লাহর পথে এবং অসহায় নারী-পুরুষ আর শিশুদের (রক্ষার) জন্য লড়াই করবে না, যারা দু‘আ করছে- ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এ যালিম অধ্যূষিত জনপথ হতে মুক্তি দাও, তোমার পক্ষ হতে কাউকেও আমাদের বন্ধু বানিয়ে দাও এবং তোমার পক্ষ হতে কাউকেও আমাদের সাহায্যকারী করে দাও। সূরা নিসা-৭৫
ব্যাখ্যা: উপরোক্ত আয়াতের প্রেক্ষিতে, জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী, ১৯৮৮ সালের ইউএন ইরান-ইরাক মিলিটারি অবজারভেশন গ্রুপ (ইউনিমগ) মিশনে মাত্র ১৫ জন সেনা পর্যবেক্ষক প্রেরণের মাধ্যমে যে অগ্রযাত্রার সূচনা হয়, পরবতীর্ বছরগুলোতে দক্ষতা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পেশাদারিত্ব ও কর্মস্পৃহার মৃর্তপ্রতীক হিসেবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিজেদের অবস্হান সুসংহত করেছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের ১৫টি কন্টিনজেন্টকে ইউনাইটেড নেশনস ক্যাপাবিলিটি রেডিনেস সিস্টেম (ইউএনপিসিআরএস-এর অন্তভুর্ক্ত করা হয়েছে।
অনন্য মাত্রার অধিকারী আফ্রিকা মহাদেশের ১৫০টির বেশি মিলিশিয়া বাহিনীর নিরন্তর সংঘাতের পটভূমিতে নিবেদিতপ্রাণ নীল শিরস্ত্রাণধারী বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের কর্মকাণ্ড বিশ্বব্যাপী আজ ব্যাপকভাবে সমাদৃত।
বাংলাদেশ বর্তমানে শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে ৯টি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করছে। তথ্যসূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ২৯ মে ২০২২
ছ। পেশাগত দায়িত্ব পালন করা:
চাকুরী এটি জীবিকা নির্বাহে উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে পরিগণিত। এসব চাকুরীর ক্ষেত্রে ইসলামের মূল দর্শন হলো প্রত্যেক চাকুরে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পূর্ণ নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও সচ্ছতার সাথে পালন করবে। রাসূল (ﷺ) এ বিষয়ের মূলনীতি বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন:
«كلكم راع، وكلكم مسئول عن رعيته »
অর্থ: তোমাদের প্রত্যেকেই এক একজন দায়িত্বশীল। তোমাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। ইমাম বুখারী-৮৯৩ ; ইমাম মুসলিম-১৮২৯
জ। সত্যবাদী হওয়া:
সত্যবাদিতা ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের নিকট একটি প্রিয় ও কাঙ্ক্ষিত গুণ। পক্ষান্তরে অসত্য ও মিথ্যাবাদিতা ঘৃণিত সবার কাছে।
কুরআনের বাণী-
Surah Al-Ahzab, Verse 70:
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَقُولُوا قَوْلًا سَدِيدًا
হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সঠিক কথা বল।
সূরা আহযাব -৭০
হাদিসের বাণী-
عليكم بالصِّدق، فإنَّ الصِّدق يهدي إلى البرِّ، وإنَّ البرَّ يهدي إلى الجنَّة، وما يزال الرَّجل يصدق، ويتحرَّى الصِّدق حتى يُكْتَب عند الله صدِّيقًا
অর্থ: তোমরা সত্যকে অবলম্বন কর। কারণ সত্যবাদিতা ভালো কাজে উপনীত করে। আর ভালো কাজ উপনীত করে জান্নাতে। মানুষ সত্য বলে ও সত্যবাদিতার অন্বেষায় থাকে, একপর্যায়ে সে আল্লাহর কাছে সত্যবাদী হিসেবে লিখিত হয়ে যায়। সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৬০৭
ঝ। মিথ্যা কথা না বলা:
মিথ্যাকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই কেবল ঘৃণা করা হয় না বরং সব বর্ণের-ধর্মের মানুষ মিথ্যাকে ঘৃণা করে। যারা কোনো ধর্ম মানে না, তারাও মিথ্যাকে ঘৃণা করে। যারা অনর্গল মিথ্যা বলে, তারাও মিথ্যাকে ঘৃণা করে। মিথ্যাবাদীও চায়, অন্যেরা তার সঙ্গে সত্য কথা বলুক।
কুরআনের বাণী-
وَاجْتَنِبُوا قَوْلَ الزُّورِ
অর্থ: মিথ্যা কথন থেকে দূরে সরে থাক। সূরা হজ-৩০
হযরত আবু বকর সিদ্দীক রা. বলেন-
إياكم والكذب فإنه مجانب الإيمان
‘তোমরা মিথ্যা থেকে দূরে থাক, কারণ মিথ্যা ঈমানের পরিপন্থী।’ -আলমুসান্নাফ, ইবনে আবী শায়বা, হাদীস ২৬১১৫
হযরত সা‘দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন-
يطبع المؤمن على كل شيء إلا الكذب والخيانة
অর্থাৎ মুমিনের মধ্যে স্বভাবগত বিভিন্ন দোষত্রুটি থাকতে পারে। إلا الكذب والخيانة তবে সে মিথ্যুক ও প্রতারক হতে পারে না। -আলমুসান্নাফ, ইবনে আবী শায়বা, হাদীস ৩০৯৭৫
ঞ। ধৈর্য/সবর করা:
ত। সহকর্মীদের প্রতি সহানাভূতি:
- والله اعلم بالصواب
উত্তর প্রদানে, মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক