জিজ্ঞাসা-১২৭০২:
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আসসালামু আলাইকুম।ঋতুবতী মহিলারা কি কুরআন পড়তে পারবে?দলীলসহ জানতে চাই।
তারিখ: ২৯/০৭/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি
মাওলানা ওবায়দুল্লাহ, সিলেট থেকে।
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم
তাসলিম ও হামদ-সানার পর প্রথম কথা হলো, পিরিয়ড/হায়েজ-নেফাস অবস্থা এবং ওই ব্যক্তি যার উপর গোসল করা হয়েছে তিনিও কোরআন তেলাওয়াত করতে পারবেন না। দলিল:
عن ابن عمر : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئا من القرآن (سنن الترمذى، ابواب الطهارات، باب ما جاء في الجنب والحائض : أنهما لا يقرأن القرآن، رقم الحديث-131)
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-ঋতুবতী মহিলা এবং গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি কোরআন পড়বে না। তাখরিজ: সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৩১, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৯৯১, মুসনাদুর রাবী, হাদীস নং-১১, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১০৯০, মুসন্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৩৮২৩
ফোকাহায়ে কেরামের ফতোয়া: উপরোক্ত হাদিসের আলোকে ফোকাহায়ে কেরাম বলেন,
يستحب للحائض اذا دخل وقت الصلاة ان تتوضأ وتجلس عند مسجد بيتها تسبح وتهلل قدر ما يمكن أداء الصلاة لو كانت طاهرة (الفتاوى الهندية، كتاب الطهارة، الفصل الرابع فى احكام الحيض والنفاس والإستحاضة- 1/38)
অর্থাৎ হায়েজ নিফাসওয়ালী মহিলার ক্ষেত্রে নামায পড়া নিষিদ্ধ, রোযা রাখা নিষিদ্ধ। কুরআন পড়া নিষিদ্ধ। গিলাফ ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা নিষিদ্ধ। মসজিদে প্রবেশ নিষিদ্ধ। বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করা নিষিদ্ধ। সূত্র: বাদায়েউস সানায়ে’-১/১৬৩
প্রশ্ন: ক। ঋতুবর্তী নারী গণ এবং ফরজ গোসল ব্যক্তি কি ঐ সময় আল্লাহর নাম নিতে পারবে?
উত্তর: ক। হ্যাঁ, ওই সময় আল্লাহর নাম তথা জিকির- তাসবিহ-দুআ পাঠ করতে পারবে কোন অসুবিধা নেই। দলিল:
عن إبراهيم قال : الحائض والجنب يذكران الله ويسميان (مصنف عبد الرزاق، كتاب الطهارة، باب الحائض تذكر الله ولا تقرأ القرآن، رقم الحديث-989)
অর্থাৎ হযরত ইবরাহীম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-হায়েজ এবং গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি আল্লাহর জিকির করতে পারবে, এবং তার নাম নিতে পারবে। তাখরিজ: মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১৩০৫, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৯৮৯
সারকথা হলো, ঋতুবর্তী নারীরা কুরআন তেলাওয়াত করতে পারবেন না।
والله اعلم بالصواب
উত্তর প্রদানে, মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক