আল-বুরহান ( দলিল-প্রমাণ)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। একটু নিচে দেখুন> বিষয় ভিক্তিক সাজানো রয়েছে, আপনার পছন্দ অনুযায়ী পাঠ করুন এবং পোষ্টগুলো ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে এই নাম্বারে- ০১৬৮৭-১১৩৮৮০ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিন । জাযাকাল্লাহু খাইর।

জিজ্ঞাসা -১২৬৮৪: শিশুকে কত বছরের মধ্যে দুধ পান করালে হুরমত সাব্যস্ত হবে? দালিলিক বিশ্লেষণ।

No Comments

 



















জিজ্ঞাসা-১২৬৭৪:

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। শিশুকে কত বছরের মধ্যে দুধ পান করালে হুরমত সাব্যস্ত হবে?

তারিখ:  ২১/০৭/২৩ ঈসায়ি/ইংরেজি                       

 

মাওলানা   থেকে।


 জবাব:  وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

 نحمده ونصل على رسوله الكريم اما بعد بسم الله الرحمن الرحيم 

 

তাসলিম ও হামদ-সানার পর  প্রথম কথা হলো, দুই জন সাহাবার বর্ণনা ব্যতিত সকল সাহাবা, তাবিয়ি, চার ইমাম, যুগ যুগ ধরে লক্ষ- কোটি তাদের অনুসারীদের মতে, শিশুকে দুই বছরের মধ্যে দুধ পান করালে হুরমত সাব্যস্ত হবে, এর পরে পান করলে হুরমত হিসেবে গণ্য হবে না। যেমন,


وَمِمَّنْ قَالَ رَضَاعُ الْكَبِيرِ لَيْسَ بِشَيْءٍ (مِمَّنْ رَوَيْنَاهُ لَكَ عَنْهُ وَصَحَّ لَدَيْنَا) : عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ وَعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ وَابْنُ عُمَرَ وَأَبُو هُرَيْرَةَ وَابْنُ عَبَّاسٍ ، وَسَائِرُ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ غَيْرَ عَائِشَةَ ، وَجُمْهُورُ التَّابِعِينَ ، وَجَمَاعَةُ فُقَهَاءِ الْأَمْصَارِ ، مِنْهُمُ الثَّوْرِيُّ وَمَالِكٌ وَأَصْحَابُهُ وَالْأَوْزَاعِيُّ وَابْنُ أَبِي لَيْلَى وَأَبُو حَنِيفَةَ وَأَصْحَابُهُ وَالشَّافِعِيُّ وَأَصْحَابُهُ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ وَأَبُو ثَوْرٍ وَأَبُو عُبَيْدٍ وَالطَّبَرِيُّ

অর্থাৎ, বড় মানুষের দুগ্ধপান কোন কিছু সাব্যস্ত করেনা বলে যে সকল সাহাবাগণ মনে করে থাকেন, তাঁদের মাঝে অন্যতম হলেন- হযরত উমর বিন খাত্তাব , আলী বিন আবী তালিব, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ, আব্দুল্লাহ ইবনে উমার, আবু হুরায়রা, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযি.)প্রমুখ। এছাড়া হজরত আয়িশা (রাযি.) ছাড়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সকল স্ত্রীগণও এই মতের প্রবক্তা ছিলেন। এছাড়া বড় বড় শহরের নামকরা হাদীস বিশারদ ও ফকীহগণসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ তাবেয়ী এই মতামত ব্যক্ত করতেন। তাঁদের মাঝে অন্যতম হলেন- ইমাম সুফিয়ান সাওরী, ইমাম মালেক ও তাঁর শিষ্যগণ, ইমাম আওযায়ী, ইবনু আবী লাইলা, আবূ হানীফা ও তার শাগরেদগণ,  ইমাম শাফেয়ী ও তাঁর শিষ্যগণ, ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল,ইসহাক, আবূ সাওর, আবূ উবাই, ত্ববারী (রাহি.)।


অপর পক্ষে শায়েখ ইবনে তায়মিয়া রহ. এবং তার অনুসারী বলে দাবিদার কতিপয় আহলে হাদিসের মতে,  দুই বছর পর প্রাপ্তবয়স্ক লোক দুধ পান করলেও হুরমত সাব্যস্ত হবে। যেমন,


وذهب شيخ الإسلام ابن تيمية

 إلى أن من حالتها كحالة سهلة يجوز لها أن تستعمل رضاع الكبير، وقد بينا ذلك في الفتوى رقم: 3901

অর্থাৎ,  শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রাহি.) বলেন, যিনি সাহলা (রাযি.) এর মতো এমন অনিবার্য বিড়ম্বনার সম্মুখীন হবেন, তার জন্য প্রাপ্তবয়ষ্ক ব্যক্তির সাথে দুগ্ধসম্পর্ক স্থাপন করার বৈধতা আজো বিদ্যমান রয়েছে। ৩৯০১ নং ফাতাওয়ায় এবিষয়ে সবিস্তারে আলোকপাত করা হয়েছে। সূত্র: ফিকহুল উসরাতুল মুসলিমা-৯৩৮৪৫


وتكون هذه الرضعات في الحولين وهو قول الشافعية والحنابلة وأبي يوسف ومحمد وهو الأصح المفتى به عند الحنفية أن مدة الرضاع المؤثر في التحريم حولان , فلا يحرم بعد حولين


- وقال المالكية : يشترط في التحريم أن يرتضع في حولين أو بزيادة شهر أو شهرين , وأن لا يفطم قبل انتهاء الحولين فطاما يستغني فيه بالطعام عن اللبن , فإن فطم واستغنى بالطعام عن اللبن ثم رضع في الحولين فلا يحرم . وقال أبو حنيفة : مدة الرضاع المحرم حولان ونصف ولا يحرم بعد هذه المدة , سواء أفطم في أثناء المدة أم لم يفطم

অর্থাৎ, শিশুর মাতৃদুগ্ধপানের মেয়াদকালের সর্বোচ্চ সময়সীমা হলো, দুইবছর। হানাফী মাযহাবের ইমাম আবূ ইউসুফ, ইমাম মুহাম্মাদ সহ শাফেয়ী ও হাম্বলী মাযহাবের ফকীহগণও এই মতেরই প্রবক্তা ছিলেন।

 আর এই হানাফী মাজহাবের ফাতাওয়া হলো, "হুরমাতে রেযায়াত" ( দুগ্ধসম্পর্ক স্থাপন হেতু বৈবাহিক নিষিদ্ধতা) সাব্যস্ত হবার সর্বোচ্চ সময়সীমা হলো, দুইবছর। এরপরে কোন শিশু বুকের দুধ পান করলে স্তন্যদায়িনীর সঙ্গে তার দুগ্ধসম্পর্কিত হুরমাত সাব্যস্ত হবেনা।


তবে মালেকী মাযহাবের ফকীহগণ বলেন, " দুগ্ধসম্পর্ক স্থাপন সাব্যস্ত হওয়ার জন্য শর্ত হলো, পূর্ণাঙ্গ দুইবছর কিংবা অতিরিক্ত আরো এক/ দুই মাস মেয়াদকাল ধরে নিরবিচ্ছিন্নভাবে স্তন্যদান করা, এবং দুই বছরের আগে এমনভাবে দুধ ছাড়িয়ে না ফেলা যে, সে অন্যান্য আহার গ্রহণে অভ্যস্ত হয়ে পড়াতে দুধের প্রতি নির্ভরশীলতা হ্রাস পেয়ে যায়। যদি এমন করে ফেলে, অর্থাৎ, দুই বছরের আগে এমনভাবে দুধ ছাড়িয়ে ফেলে যে, সে অন্যান্য আহার গ্রহণে অভ্যস্ত হয়ে পড়াতে দুধের প্রতি নির্ভরশীলতা হ্রাস পেয়ে যায়,এর পরে নতুন করে কেউ স্তন্যদান করলে তার সাথে বাচ্চার "হুরমাতে রিযায়াত" ( দুগ্ধসম্পর্ক স্থাপন হেতু বৈবাহিক নিষিদ্ধতা) সাব্যস্ত হবেনা।


ইমাম আবু হানীফা বলেন, "শিশুর মাতৃদুগ্ধপানের মেয়াদকালের সর্বোচ্চ সময়সীমা হলো, আড়াইবছর। এর পরে নতুন করে কেউ স্তন্যদান করলে তার সাথে বাচ্চার "হুরমাতে রিযায়াত" ( দুগ্ধসম্পর্ক স্থাপন হেতু বৈবাহিক নিষিদ্ধতা) সাব্যস্ত হবেনা। চাই এই আড়াই বছরের মেয়াদকালের মাঝে স্তন্যদানে ক্ষণিক বিরত প্রদান করুক, কিংবা না করুকসূত্র: ফিকহুল ইসরাতুল মুসলিমা, আহকামুর রজাআ-৪৮৬৬৫ (ফতোয়া নং)


জমহুরের দলিল : 


পবিত্র কুরআন থেকে দলিল:


আয়াত নং -০১

وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلَادَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ لِمَنْ أَرَادَ أَن يُتِمَّ الرَّضَاعَةَ 

আর সন্তানবতী নারীরা তাদের সন্তানদেরকে পূর্ন দু’বছর দুধ খাওয়াবে, যদি দুধ খাওয়াবার পূর্ণ মেয়াদ সমাপ্ত করতে চায়। সূরা বাকারা-২৩৩


তাফসির: 

أنَّ اللهَ تعالى جعَلَ حَدَّ الرَّضاعِ إلى الحَولَينِ. فدَلَّ هذا على عدَمِ اعتِبارِ الرَّضاعِ بَعدَهما. ((زاد المعاد)) لابن القيم (5/515)

অর্থ: নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা স্তন্যপান করানোর সীমা দুই বছর নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং এ প্রমাণ করে যে, দু'বছর পরে বুকের দুধ খাওয়ানো বিবেচনা করা হয় না, জায়েজ নেই। সূত্র: যাদুল মাআদ -৫ম খণ্ড, ৫১৫ পৃষ্ঠা, আল্লামা ইবনে কাইয়ুম রহ.


সুন্নাহ থেকে দলিল:


হাদিস নং -০১

عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا رَضَاعَ بَعْدَ فِصَالٍ

হযরত জাবের রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, দুধ ছাড়ানোর [সময়সীমা শেষ হবার] পর আর দুগ্ধপান [সম্পর্কিত হুরমতের বিধান] নেই। তাখরিজ: মুসনাদে আবু দাউদ তায়ালিছী-১৮৭৬

 নোট: হাদিসটির সনদ সহিহ।



হাদিস নং-০২

عن أم سلمة رضي الله عنها مرفوعا: لا يحرم من الرضاعة إلا ما فتق الأمعاء في الثدي وكان قبل الفطام

দুই বছরের পরে দুধপান করলে বিবাহ হারাম হয় না অধ্যায় 

(১৬৪৯) উম্মু সালামা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে দুধপান স্তন থেকে করা হয়, যা শিশুর অন্ত্র উন্মোচিত করে (শিশুর ক্ষুধা মিটায় ও মূল পুষ্টি দেয়) এবং দুধ ছাড়ানোর পূর্বে হয় সেই দুধপানই বিবাহ হারাম করে।

(তিরমিযি । তিনি হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন)। [সুনান তিরমিযি, হাদীস-১১৫২]

—ফিকহুস সুনান, হাদীস নং ১৬৪৯



হাদিস নং-০৩

عن عائشة رضي الله عنها مرفوعا: إنما الرضاعة من المجاعة

দুই বছরের পরে দুধপান করলে বিবাহ হারাম হয় না অধ্যায় 

(১৬৪৮) আয়িশা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, শুধুমাত্র ক্ষুধার জন্য দুধপানই দুধপান। (অর্থাৎ যে বয়সে শিশু অন্য কিছু খেতে পারে না জীবন ধারণের জন্যই তার দুধের প্রয়োজন সেই সময়ের দুধপানই দুধ-সম্পর্ক সৃষ্টি করবে)। তাখরিজ: 

[সহীহ বুখারি, হাদীস-২৬৪৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস-১৪৫৫; সুনান আবু দাউদ, হাদীস-২০৫৮; মুসনাদ আহমাদ, হাদীস-২৫০৭৩]

—ফিকহুস সুনান, হাদীস নং ১৬৪৮


হাদিস নং -০৪

عن عبد الله بن عباس رضي الله عنهما أنه كان يقول: ما كان في الحولين وإن كان مصة واحدة فهو يحرم

দুই বছরের মধ্যে কম বা বেশী দুধ পান করলে বিবাহ হারাম হবে অধ্যায় 

(১৬৪৩) আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলতেন, দুই বছরের মধ্যে শিশু যে দুধ পান করে, তা যদি এক চুমুকও হয় তাহলেও তা দুধ-সম্পর্ক সৃষ্টি করে বিবাহ হারাম করে। (অর্থাৎ দুইবছর বয়সের সময়কালের মধ্যে শিশু যদি কোনো মহিলার বুকের দুধ এক চুমুকও পান করে তবে সেই মহিলা তার দুধ-মা বলে গণ্য হবেন এবং সেই মহিলা ও তার বংশধরদের সাথে দুধ-সম্পর্কে বৈবাহিক নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হবে)।

[মুআত্তা মালিক, হাদীস-১৭৩৮]

ফিকহুস সুনান, হাদীস নং ১৬৪৩



হাদিস/আসার নং-০৫

عن النخعي أن عليا وابن مسعود رضي الله عنهما قالا: يحرم من الرضاع قليله وكثيره

দুই বছরের মধ্যে কম বা বেশী দুধ পান করলে বিবাহ হারাম হবে অধ্যায় 


(১৬৪৪) তাবিয়ি ইবরাহীম নাখয়ি বলেন, আলী রা. ও ইবন মাসউদ রা. বলেন, অল্প বা বেশী যে কোনো পরিমাণ দুধ পান করলেই বিবাহ নিষিদ্ধ হবে।


নোট:

(তাবারানি। হাদীসটির সনদ মুরসাল। বাকি সনদ গ্রহণযোগ্য)। [তাবারানি, আল মু'জামুল কাবীর, হাদীস-৯৬৯৯; সুনান নাসায়ি, হাদীস-৩৩১১; তাহাবি, শারহু মুশকিলিল আসার, হাদীস-৪৫৬৮; বাইহাকি, আস সুনানুল কুবরা, হাদীস-১৫৬৪১; হাইসামি, মাজমাউয যাওয়ায়িদ, হাদীস-৭৩৬১]

—ফিকহুস সুনান, হাদীস নং ১৬৪৪


শায়েখ ইবনে তায়মিয়া রহ. এর দলিল:


حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ جَاءَتْ سَهْلَةُ بِنْتُ سُهَيْلٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَرَى فِي وَجْهِ أَبِي حُذَيْفَةَ مِنْ دُخُولِ سَالِمٍ - وَهُوَ حَلِيفُهُ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَرْضِعِيهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ وَكَيْفَ أُرْضِعُهُ وَهُوَ رَجُلٌ كَبِيرٌ فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ ‏"‏ قَدْ عَلِمْتُ أَنَّهُ رَجُلٌ كَبِيرٌ ‏"‏ ‏.‏ زَادَ عَمْرٌو فِي حَدِيثِهِ وَكَانَ قَدْ شَهِدَ بَدْرًا ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ أَبِي عُمَرَ فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم

‘আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, সুহায়ল-এর কন্যা সাহ্‌লাল্‌ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট হাযির হয়ে বলল, হে আল্লাহর রসূল, আমার সাথে সালিমের দেখা সাক্ষাৎ করার কারণে আমি আবূ হুযায়ফার মুখমন্ডলে অসন্তুষ্টির আলামত দেখতে পাচ্ছি অথচ সালিম হল তাঁর হালীফ (পোষ্য পুত্র)। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি তাকে দুধপান করিয়ে দাও। তিনি বলেন, আমি কেমন করে তাকে দুধপান করাব, অথচ সে একজন বয়স্ক পুরুষ। এতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুচকি হাসি দিলেন এবং বললেন, আমি জানি যে, সে একজন বয়স্ক পুরুষ।

‘আম্‌র (রাবী) তাঁর হাদীসে অতিরিক্ত বলেছেন, সালিম বদর যুদ্বে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আর ইবনু আবূ ‘উমারের বর্ণনায় রয়েছে যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হেসে দিলেন। তাখরিজ: সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৩৪৯২


জমহুরের পক্ষে জবাব:


যেহেতু আয়িশা (রাযি.) তাঁর শায (দুর্লভ ও নিজস্ব) মতামত থেকে ফেরত এসেছেন। তাই শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া এ হাদীসটিকে প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করে বয়ষ্ক মানুষকে দুগ্ধপানের বৈধতা দিতে পারেন না। কারণ উলূমুল হাদীসের গুরুত্বপূর্ণ একটি মূলনীতি হলো, 

عمل الراوي بمخالفة عمله يدل على نسخ الحديث، بأن الصحابي مع فضله ودينه لا يجوز أن يترك الحديث ويعمل بخلافه إلا وقد علم نسخ الخبر، فوجب أن يسقط الاحتجاج به”، 


অর্থাৎ, কোনা হাদীসের রাবী যদি তার বর্ণিত হাদীসের বিপরীত আমল করে, তাহলে সুনিশ্চিতভাবেই ধরে নিতে হবে যে, হাদীসের বিধানটি মানসুখ ( রহিত) হয়ে গিয়েছে। কারণ প্রত্যেক সাহাবার ধার্মিকতা, সত্যনিষ্ঠা ও মহানবীর সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার দুর্নিবার ইচ্ছা একথাই প্রমাণ করে যে, তার বর্ণিত হাদীসটির বিধান মানসুখ (রহিত) না হলে, সে কোনভাবেই হাদীসের বিধানকে তরক করতোনা। সুতরাং এই মানসুখ হাদীস দ্বারা প্রমাণ উপস্থাপন করাটা কোনভাবেই শুদ্ধ নয়। 

এজন্যই ফকীহগণের পরিমণ্ডলে একটি সুপরিচিত মূলনীতি হলো, 

العبرة بما رأي لا بما روي

অর্থাৎ নির্ভরযোগ্য রাবীর বর্ণনাকৃত রেওয়াত ও তার পালিত কর্মের মাঝে ব্যবধান দেখা দিলে, তার কর্মকেই প্রাধাণ্য দিতে হবে, তার বর্ণিত রেওয়াতকে নয়। কারণ তার বিপরীতমুখী কর্ম একথারই প্রমাণ বহন করে যে, স্বীয় বর্ণিত রিওয়াতটি মানসুখ (রহিত) হয়ে গিয়েছে, কিংবা মুআওয়াল ( বাহ্যিক অর্থ নির্দেশক নয়, বরং ব্যাখাসাপেক্ষ)। 

 একারণেই শায়খুল ইসলাম ইবনে তায়মিয়া (রাহি.) এর সবচাইতে নিকটতম শাগরেদ আল্লামা ইবনুল কাইউম আল জাওযিয়্যাহ বক্ষমান মাসআলার ক্ষেত্রে স্বীয় উস্তাযের মতামতকে স্বযত্নে এড়িয়ে গিয়ে জামহুর উলামায়ে কেরামের মতামতকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। 


তাছাড়া একটু গভীর ভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রাহি.) ঢালাওভাবে সকল বয়ষ্কব্যক্তিকে দুগ্ধপানের বৈধতার কথা বলেননি। বরং তিনি এই বিধানটি বিশেষ একটি অবস্থার সাথে শর্তায়িত করেছেন। যা তাঁর বক্তব্য থেকেই সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়।


وذهب شيخ الإسلام ابن تيمية إلى أن من حالتها كحالة سهلة يجوز لها أن تستعمل رضاع الكبير، وقد بينا ذلك في الفتوى رقم: 3901

অর্থাৎ, শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রাহি.) বলেন, যার অবস্থা হবে সাহলা (রাযি.) এর মতো, (অর্থাৎ কারো ঘরে যদি পালক পুত্র থেকে থাকে, এবং বাড়ীর মহিলাদের পর্দা রক্ষা করে চলাটা কষ্টকর হয়ে ওঠে,) সেক্ষেত্রে এই অবকাশ দেয়া যেতে পারে। অর্থাৎ পালকপুত্রের সাথে দুগ্ধ সম্পর্ক স্থাপন করে একে অপরের মাহরাম বনে যাবে। তাহলে পরিবারের সকলের সাথে নির্ঝঞ্ঝাটভাবে চলাফেরা করা যাবে। ৩৯০১ নং ফাতাওয়ায় এবিষয়ে সবিস্তারে আলোকপাত করা হয়েছে।


তবে এই বিধানটি এখন সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর হিসেবে পর্যবসিত হয়েছে।কারণ যেহেতু দত্তকপ্রথা বা পালকপুত্র গ্রহণের বিধান রহিত হয়ে গিয়েছে, তাই সাহলা (রাযি.) এর হাদীসটি আর কোনভাবেই আমলযোগ্য থাকলোনা। 

এই ঘটনা থেকে আরেকটি বিষয় স্পষ্ট হলো, কোন হাদীস সনদগতভাবে সহীহ হলেই যে তা আমলযোগ্য হবে, বিষয়টি এমন নয়। বরং তা আমলগতভাবে পরিত্যাজ্য হতে পারে। পবিত্র কুরআনের মানসুখ ( রহিত) আয়াতগুলো এর জ্বলন্ত প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মানসুখ আয়াতগুলোর তিলাওয়াত সহ যাবতীয় কার্যধারা অন্য সকল আয়াতগুলোর মতো সমান তালেই চলছে। কিন্তু আমলগত ক্ষেত্রে বিভাজন তৈরী করছে। মুহকাম আয়াতগুলোর বিধান বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, আর মানসুখ আয়াতগুলো শুধুমাত্র পঠন-পাঠনের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকছে। 


এ সম্পর্কে ইমাম মালেক রহ. বলেছেন,

وقد ذكره الإمام مالك تحت عنوان (ما جاء في الرضاعة بعد الكبر) ليبين حكم الشرع في ذلك ومذاهب أهل العلم فيه، ثم ذكر في هذا الباب أن جمهور أهل العلم من الصحابة يذهبون إلى أن الرضاعة لا يحرم منها إلا ما كان في الحولين -الذين هما مدة الرضاعة- ومن هؤلاء عمر وابن مسعود وأم سلمة كما في الآثار التي ذكرها مالك في الموطأ بعد الحديث المذكور مباشرة وأن هذه القصة خاصة بسهلة دون غيرها

অর্থাৎ ইমাম মালেক ( রাহি.) স্বীয় গ্রন্থ 'মুয়াত্তা'তে- "বড় হওয়ার পরও দুগ্ধ সম্পর্ক স্থাপন হওয়া সম্পর্কে হাদীসে যা এসেছে"  শীর্ষক শিরোনামের অধীনে সংশ্লিষ্ট সকল হাদীস আনয়নের পর বক্ষমান বিষয়ে শরীয়তের বিধান ও ফকীহগণের মতামত সবিস্তারে বর্ণনা করেন। তারপরে তিনি বলেন, হযরত উমর,  ইবনে মাসঊদ, উম্মে সালামা (রাযি.) সহ সংখ্যাগরিষ্ঠ আহলে ইলম সাহাবায়ে কেরামগণের মতে, শিশুর ভূমিষ্ট হওয়ার দুই বছরের মাঝেই দুগ্ধপান সম্পর্ক সাব্যস্ত হবে। এর পরে আর হবেনা। তিনি এও বলেন যে, বড় হওয়ার পর দুগ্ধসম্পর্ক সাব্যস্ত হওয়ার  ঘটনাটা শুধুমাত্র সাহলা (রাযি.)এর খাস (বিশেষভাবে সম্পর্কিত বিচ্ছিন্ন ঘটনা, যা অন্যদের ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য নয়) সূত্র: ফিকহুল ইসরাতুল মুসলিমা, আহকামুর রিজা-৯৩৮৪৫ (ফতোয়া নং)


فقد رأوه حالة خاصة بسالم يجب أن لا تعمم .

فقد روى مسلم (1454) عن أُمِّ سَلَمَةَ رضي الله عنها زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَتْ تَقُولُ : " أَبَى سَائِرُ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُدْخِلْنَ عَلَيْهِنَّ أَحَدًا بِتِلْكَ الرَّضَاعَةِ ، وَقُلْنَ لِعَائِشَةَ : وَاللَّهِ مَا نَرَى هَذَا إِلَّا رُخْصَةً أَرْخَصَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِسَالِمٍ خَاصَّةً ، فَمَا هُوَ بِدَاخِلٍ عَلَيْنَا أَحَدٌ بِهَذِهِ الرَّضَاعَةِ ، وَلَا رَائِينَا

অর্থাৎ,  তারা এই ঘটনাকে  বিশেষভাবে শুধুমাত্র  সালেম এর সাথে সম্পৃক্ত একটি  বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখেছেন, যা সকলের ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য নয়। দলিল: 


ইমাম মুসলিম (রাহি.) স্বীয় কিতাবের ১৪৫৪ নং হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রী হযরত উম্মে সালামা (রাযি.) হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কোন স্ত্রীই বড় হওয়ার পর দুধ পানের ভিত্তিতে  তাদের সাথে দেখা দেওয়ার অনুমতি দিতেননা। বরং তারা হযরত আয়িশা (রাযি.) কে উদ্দেশ্য করে এও বলতেন যে, এই ঘটনাটি কোন সার্বজনীন বিধান নয়, বরং সেটি শুধু তার সাথেই সম্পৃক্ত অবকাশমূলক নিছক একটি  বিচ্ছিন্ন ঘটনামাত্র। যা সকলের ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য নয়। অতএব সেই দুধপানের উপর ভিত্তি করে সে আমাদের কাছে ভিড়তেও পারবেনা, আমাদের সাথে দেখাও দিতে পারবেনা। তাখরিজ: মুসলিম -১৪৫৪


একটি প্রশ্ন: স্বামী যদি স্ত্রীর দুধ পান করে অথবা ভুলক্রমে পান করে ফেলে, তাহলে স্ত্রী কি হারাম হয়ে যাবে?  ইসলামের সূচনা লগ্ন থেকে এ বিষয়ে কোনো ফকিহ/ মুহাদ্দিসদের কোনো ফতোয়া আছে কি?

যদি না থাকে একথাই প্রমাণ করে দুই বছর পর দুধ পান করলে হুরমত হিসেবে গণ্য হবে না।



চূড়ান্ত মতামত:

প্রাপ্ত বয়স্কদের দুধ পান কিয়াস বিরোধী, গায়ের মাহরাম নারীর দুধ পান করা কষ্টসাধ্য। 


সবচেয়ে বড় কথা হলো, দুই জন সাহাবি যারা প্রাপ্ত বয়স্কদের দুধ পানের পক্ষে, তারাই শেষ জীবনে মত পরিবর্তন করেন। সুতরাং মত সাহাবি জামাআত থেকে মত একটিই অবশিষ্ট রইল। যেমন,

وأن مذهب عائشة رضي الله عنها أن رضاع الكبير ينشر الحرمة مستدلة بالحديث المذكور، وكان ذلك مذهب أبي موسى الأشعري ورجع عنه إلى قول ابن مسعود رضي الله عنهم أجمعين

অর্থাৎ সাহাবাদের মধ্যে হজরত আয়েশা রা. ও আবু মুসা আশআরি রা মতামত হলো, প্রাপ্তবয়স্কেরা বুকের দুধ পান করলেও হুরমত সাব্যস্ত হবে কিন্তু হজরত আবু মুসা আশআরি রা. তা থেকে ইবনে মাসউদের কথায় ফিরে আসেন, আল্লাহ তাদের সকলের প্রতি সন্তুষ্ট হন। সূত্র: : ফিকহুল উসরাতুল মুসলিমা, তাওজিহু হাওলি হুকমি রাজাআল কাবির -৯৩৮৪৫


উল্লেখ্য যে, যেকোনো বয়সী মানুষের দুধ পান করার দ্বারা দুধ সম্পর্ক সাব্যস্ত হয়ে যাবে। হজরত আয়েশা (রা.) এই মত পোষণ করতেন। তবে ফিকহের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ‘বাদায়ে’-তে বলা হয়েছে, তিনি এই মত থেকে ফিরে এসেছিলেন। যেমন,

وأما عَمَلُ عَائِشَةَ فَقَدْ رُوِيَ عَنْهَا مَا يَدُلُّ عَلَى رُجُوعِهَا فَإِنَّهُ رُوِيَ عَنْهَا أَنَّهَا قَالَتْ: لَا يُحَرِّمُ مِنْ الرَّضَاعِ إلَّا مَا أَنْبَتَ اللَّحْمَ وَالدَّمَ.

كذا في بدائع الصنائع في ترتيب الشرائع - ٤/ ٦

অর্থাৎ, স্বয়ং আয়েশা (রাযি.) এর কর্মই একথা প্রমাণ করে যে, তিনি তাঁর এই বিচ্ছিন্ন মতামত থেকে প্রত্যাবর্তন করেছেন। কারণ তাঁর থেকেই বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ " শিশুর দুগ্ধপানের মাধ্যমে ততোক্ষণ পর্যন্ত "হুরমাত" ( দুধপান হেতু বৈবাহিক সম্পর্ক নিষিদ্ধতা) সাব্যস্ত হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত বাচ্চার হাড্ডির গঠন ও রক্ত-মাংসের উৎপাদন চলমান রয়েছে। ( বাদায়েউস সানায়ে- ৪/৬)

সুতরাং বোঝা গেলো, আয়েশা (রাযি.) এর সর্বশেষ মতানুসারে, শিশুর দেহসৌষ্ঠবে পরিপক্কতা আগমনের পর অগণিতবার দুধপান করলেও "হুরমাতে রিযায়াত" ( দুধপান হেতু বৈবাহিক সম্পর্ক নিষিদ্ধতা) সাব্যস্ত হবেনা। কারণ ততোদিনে শিশুর কোমলমতি দেহগঠনের সুনির্দিষ্ট সময়কাল পেরিয়ে গেছে।


এ বিষয়ে আবু উমার (রহ.) বলেন,

قَالَ أَبُو عُمَرَ : هَذَا يَدُلُّكَ عَلَى أَنَّهُ حَدِيثٌ تُرِكَ قَدِيمًا ، وَلَمْ يُعْمَلْ بِهِ ، وَلَمْ يَتَلَقَّهُ الْجُمْهُورُ بِالْقَبُولِ عَلَى عُمُومِهِ ؛ بَلْ تَلَقَّوْهُ عَلَى أَنَّهُ خُصُوصٌ . وَاللَّهُ أَعْلَمُ .

অর্থাৎ, উপর্যুক্ত আলোচনা হতে একথাই প্রতীয়মান হয় যে, আমলগত ভাবে এই হাদীসটি অতীত সময় ( রাসূলের যুগ) থেকে পরিত্যাজ্য হয়ে আসছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ আহলে ইলমগণ এটিকে সার্বজনীন বিধান হিসেবেও গ্রহণ করেননি। বরং এটিকে ব্যক্তি বিশেষের সাথে খাস /সম্পৃক্ত হিসেবে বিচ্ছিন ঘটনা হিসেবেই দেখেছেন। আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন। সূত্র: আত-তামহিদ-৮/২৬০, আল্লামা ইবনে আব্দুল বার রহ.


সারকথা হলো, 

رضاع الكبير لا يؤثر ولا تثبت به المحرمية ، وهذا هو قول جماهير أهل العلم

 বড়মানুষকে দুগ্ধপান করালে এতে সম্পর্কে ক্ষেত্রে কোন প্রভাব সৃষ্টি করেনা। এর মাধ্যমে একে অপরের জন্য মাহরাম ( বৈবাহিক নিষিদ্ধতাও সাধিত) হয়ে যায়না।

এটাই হলো, সংখ্যাগরিষ্ঠ আহলে ইলমের নির্ভরযোগ্য মতামত।   সূত্র: আলখিলাফু ফি রাজাআতিল কাবির -৮৫১১৫

তাছাড়া প্রাপ্ত বয়স্কদের দুধ পান করানোর বর্ণনাকারী সাহাবি রাবি নিজেদের মত পরিবর্তন করেন। আর এ বিষয়ে মুসলিম উম্মাহর কোন আমল নেই। 

সুতরাং শিশুকে দুই বছর পর দুধ পান করালে হুরমত সাব্যস্ত হবে না। 


 والله اعلم بالصواب

উত্তর প্রদানে মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক